৫ মিনিটে হার্টের সমস্যার লক্ষন জানুন - হার্টের সমস্যার লক্ষণ

 



হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখুন

আজকে আপনাদের হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে তথ্য দিবেন ডাক্তার নাদিয়া, রয় দাস, রায়হান খান। আপনারা অবশ্যই তথ্যগুলো মনোযোগ দিয়ে পরবেন, কারন হার্ট অ্যাটাকের কারনে একজন মানুষের মৃত্য পর্যন্ত হতে পারে।

আপনারা আজকে সম্পূর্ন পোস্ট পাঠ করলে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে আপনাদের চিন্তাই করতে হবে না। কারন হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে a to z জানতে পারবেন এখন।

হার্টের সমস্যার লক্ষন

হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষন অনেক গুলো রয়েছে, বেশির ভাগ মানুষের হার্ট অ্যাটাকের আগে যেই লক্ষন গুলো দেখা দেয় সেই লক্ষনগুলোই আপনাদের এখন বলবো। আসুন তাহলে হার্টের সমস্যার লক্ষন জেনে নেই।

১) আপনাদের পেটের উপরের দিকে যদি হঠাৎ করর চাপ তৈরি হয় অথবা ব্যাথা করে আর সেই ব্যাথা যদি গলা, হাতে, কানে, চোখে পর্যন্ত হয় তাহলে বুজতে হবে আপনাদের হার্টে সমস্যা রয়েছে।

২) আপনারা যদি দেখেন হঠাৎ আপনাদের শাস কষ্ট হচ্ছে আপনারা ঠিক মতো অক্সিজেন পাচ্ছেন না তাহলেও আপনাদের হার্টে সমস্যা লক্ষন রয়েছেন।

৩) আপনাদের কিডনির অই খানে যদি হঠাৎ ব্যাথা করে আর সেই ব্যাথা যদি আস্তে আস্তে পেটের দিকে আসে তাহলে এটাকে হার্টের সমস্যার লক্ষন হিসেবে দরা হয়।

৪) আপনাদের পেটে যদি গেস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেটা অল্প কিছুখন থাকবে আর আপনাদের পেটে যদি গেস্ট্রিকের  মতই সমস্যা দেখা দেয় আর সেই গেস্ট্রিকের সমস্যাটি যদি ভিবিন্ন যায়গায় দেখা দেয় তাহলে বুজতে হবে এটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষন।

আপনাদের যদি ডায়বেটিস না থাকে তাহলে হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষন হিসেবে এই ৪ টি কারন রয়েছে।

হার্ট ভালো রাখার উপায়

আপনারা যদি ৫ টি জিনিস মাথায় রাখতে পারেন তাহলে আপনাদের হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা দেখা দিবে না। আসুন তাহলে হার্ট ভালো রাখার উপায় ৫ টি তথ্য জেনে রাখি

১) অরিরিক্ত চিন্তা করা : আপনি যদি কোন ব্যাপার নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন ঠিক মতো যদি খাবার না খান চিন্তার কারনে তখন আপনার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই আপনারা অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না আর ঠিক মতো খাবার খাবেন।

২) কষ্টের কাজ : আপনাদের যদি হার্ট দূর্বল হয়ে থাকে তাহলে আপনারা বেশি কষ্টের কাজ করবেন না আর বেশি হাটাহাটি করবেন না তাহলে দেখবেন আপনাদের হার্ট ভালো থাকবে।

৩) গেস্ট্রিকের সমস্যা: আপনাদের যদি।গেস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাহলে সেটা নিয়ত্রনে রাখবেন কারন অনেক সময় অতিরিক্ত গেস্ট্রিকের সমস্যার কারনে আপনাদের হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

৪) ডায়বেটিস : আপনাদের ডায়বেটিস যদি নিয়ত্রনে না থাকে, ডায়বেটিস যদি অতিরিক্ত থাকে সেই জন্য ও আপনাদের হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। আপনাদের  হার্ট দূর্বল থাকে আর  ডায়বেটিস ও থাকে তখন আপনারা আপনাদের ডায়বেটিস নিয়ত্রনে রাখার চেষ্টা করবেন।

৫) খাবার : আমরা অনেকেই বাহিরের তেল যুক্ত খাবার, এবং কি বাহিরের বিভিন্ন দরনের ক্ষতিকর খাবার খাওয়ার কারনে আমাদের হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনারা বাহিরের খাবার বুজে খাবেন তাহলে আপনাদের হার্ট ভালো থাকবে।

আপনারা যদি এই ৫ টি ব্যাপার মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনাদের হার্ট ভালো থাকবে।

হার্ট অ্যাটাকের প্রথমিক চিকিৎসা

আপনারা যদি আপনাদের হার্টে বেশি সমস্যা দেখতে পারেন তাহলে আপনারা অবশ্যই  হাসপাতালে যাবেন। কারন হার্ট অ্যাটাকের প্রথমিক চিকিৎসা বাসায় করলে আপনাদের ভিবিন্ন দরনের ক্ষতি হতে পারে।

অনেকেই বলে থাকেন হার্ট অ্যাটাকের প্রথমিক চিকিৎসা বাড়িতে করা যায়, কিন্তু আমি আপনাদের বলবো আপনাদের হার্টে বেশি সমস্যা দেখা দিলে আপনারা অবশ্যই হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা করবেন।

একটা কথা মনে রাখবেন হার্ট অ্যাটাক কোন ছোট রোগ নয়, আপনাদের এটা থাকলে যেই কোন সময় মৃত্যু হতে পারে, তাই হার্টে সমস্যা দেখা দিলে হাসপাতা জাবেন আর হার্ট ভালো রাখতে কি কি করবেন সেটা আপনাদের বলেই দিতেছি।

হার্ট ভালো রাখার খাবার তালিকা

হার্ট ভালো রাখার জন্য কি কি খাবার খেতে হবে আমরা অনেকেই হয়তো  জানি না। আপনাদের হার্টের সমস্যা, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষন আরো যেই কোন সমস্যা দেখা দিলে আপনারা কিছু খাবার খেতে পারেন যেই খাবার আপনাদের হার্ট ভালো রাখবে

নিম পাতার রস - নিম পাতা আপনাদের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবেন। হার্ট ভালো রাখার জন্য  নিম পাতা একটি আয়ুর্বেদি খাবার।  নিম পাতার রস আপনাদের রক্ত চলাচল ঠিক রাখবে যার কারনে আপনাদের হাট অ্যাটাক সহযেই হবে না।

কালোজিরা - কালোজিরাও আপনাদের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করেন। কালোজিরা আপনারা যদি প্রতিদিন খালি পেটে খেতে পারেন তাহলে আপনাদের হার্ট অনেক ভালো থাকবে।

তালমাখনা - তালমাখনা আপনাদের হার্টকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে। আপনারা যদি প্রতিদিনই সকালে খালি পেটে তালমাখনা খেতে পারেন তাহলে হার্টের ক্যালসিয়াম, রক্ত চলাচল, সবকিছু নিয়ত্রন করবে তালমাখনা।  আর এই কারনে আপনাদের হার্টে সহযে সমস্যা দেখা দিবে না।

ইসবগুলের ভুসি - ইসবগুলের ভুসি আমাদের জন্য কতটা উপকারি সেটা আপনারা সবাই জানেন। আপনারা যদি আপনাদের হার্ট ভালো রাখতে চান আর আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িতে তুলতে চান তাহলে প্রতিদিন তাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস ইসবগুলের ভুসির শরবত খেয়ে নিবেন।

আপনারা যদি উপরের ৪ টি খাবার সঠিক নিয়মে খেতে পারেন তাহলে আপনাদের হার্ট অনেকটা ভালো থাকবে এবং কি সহযে হার্টের সমস্যা দেখা দিবে না।

হার্ট অ্যাটাকের বয়স

আমরা অনেকেই জানি না, আমাদের বয়স কত হলে আমাদের হার্ট অ্যাটাক হতে পারেন। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার অন্যতম একটি কারন হচ্ছে বয়স। আপনাদের বয়স ৩০ এর বেশি হলেই হার্ট অ্যাটাক হতে পারেন।

বয়স অনু্যায়ি হার্ট অ্যাটাকের তালিকা :

হার্ট অ্যাটাকের বয়সহার্ট অ্যাটাকের পার্সেন্টিস
৩০ থেকে ৩৫ বছরে৫% থেকে ১০% সম্বাবনা থাকেন।
৩৬ থেকে ৫০ বছরে২০% থেকে ২৫% পর্যন্ত চান্স থাকে
৬০ বছরের মানুষের৪০% পর্যন্ত চান্স থাকে
৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের৫০% চান্স থাকে হার্ট অ্যাটাকের

আপনাদের পার্সেন্টিস এর মাধ্যমে বুজিয়ে দিলাম আপনাদের হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা কতটুকু হতে পারে বয়স অনুযায়িব।।

হার্ট অ্যাটাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনারা যদি এই বিষয়গুলো মনে রাখতে পারেন তাহলে আপনাদে সহযে হার্ট অ্যাটাক হবে না আর আপনাদের হার্ট অ্যাটাক হলেও কি করবেন সেটাও জানেন।

আমি আপনাদের বলবো আপনাদের হার্টে সমস্যা থাকলে আপনার নিম পাতা, কালোজিরা,তালমাখনা, ইসবগুলের ভুসি এই খাবারগুলো অবশ্যই খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনাদের হার্টে কোন সমস্যাই দেখা দিবে না।

ইন্ডিয়ার এক গবেষনায় এই ৪ টি খাবার খেতে বলেছেন হার্টের রোগীদের। তাই আমি আপনাদের বলবো আপনারা আবশ্যই চেষ্টা করবেন ৪ টি খাবার খাওয়ার জন্য।

আমাদের ৩ জন ডাক্তার এর পরামর্শ অনু্যায়ি আজকের তথ্যগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো। আপনারা যদি এই তথ্যগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনাদের হার্ট নিয়ে বেশি চিন্তা করতে লাগবে না।

আপনারা যদি হার্ট  সম্পর্কে কোন কিছু জানতে চান তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন অথবা আমাদের contact form এহ মেসেজ করে জানাতে পারেন। আমাদের ডক্তার আপনাদের অবশ্যই সাহায্য করবেন। ( আল্লাহ হাফেজ)

 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ