তুলসি পাতা ও বাসক পাতার উপকারিতা

তুলসি পাতা ও বাসক পাতা খেয়ে আপনারা ১০০০ হাজার রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। তুলসি পাতার উপকারিতা ও বাসক পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সব তথ্য বলবো আজকে।

বাসক পাতা আর তুলসী পাতা আপনারা স্ত্রীর এবং আপনার গোপন সমস্যা দূর করবে, আপনার বাচ্চার জন্য ও অনেক উপকারি হবে তুলসি পাতা আর বাসক পাতা। আপনারা সঠিক নিয়মে খেতে পারলে উপকার পাবেন, সঠিক নিয়মে খেতে না পারলে উপকার পাবেন না।

আপনারা তুলসি পাতা আর বাসক পাতা কিভাবে খাবেন আর কতটুকু খাবেন সবকিছু আপনাদের বলে দেওয়া হবে। আসুন তুলসি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই আগে।

তুলসি পাতার উপকারিতা

আপনাদের এখন তুলসি পাতার অসাধারন কিছু উপকার সম্পর্কে বলে দিবো, যেই উপকারগুলো আপনাদের জানাটা জরুরি।

তুলসি পাতার চা - চুলসি পাতার চায়ের উপকারিতা রয়েছেন অনেক। তুলসি পাতার চা আপনারা যদি খান তাহলে আপনাদের চর্বি কমবে আর আপনাদের শরীলের ব্যাথাও দূর হয়ে যাবে।

আপনাদের যাদের ডায়বেটিসের সমস্যা রয়েছে এবং ঠান্ডার সমস্যাও  রয়েছে তারাও এই তুলসি পাতার চা খেতে পারেন।

মেয়েদের গোপন সমস্যার জন্য তুলসি পাতা : মেয়েদের ভিবিন্ন দরনের গোপন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই তুলসি পাতা। মেয়েদের যদি মাসিকের সময় পেট ব্যাথা করে তাহলে এই তুলসি পাতা তারা খেতে পারে। এই তুলসি পাতা মেয়েদের সাদা স্রাবের সমস্যাও দূর করে থাকে।

মিলনের পরে যদি শরীল দূর্বল লাগে তাহলেও এই তুলসি পাতা খেতে পারে মেয়েরা। মেয়েরা যদি গর্ভাবস্থায় তুলসি পাতা খায় তাহলেও ভিবিন্ন ভাবে তাদের শরীলের এবং তাদের বাচ্চার শরীলের উপকারে আসবে।

বাচ্চাদের জন্য তুলসি পাতার উপকারিতা : এই তুলসি পাতা বাচ্চার শরীলের সব দরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। তুলসি পাতা বাচ্চাদের খাওয়ালে তাদের ঠান্ডা দূর হবে, হরমোনের সমস্যা দূর হবে, সাস্থ ঠিক থাকবে আরো অনেক রকমের উপকার পাবেন বাচ্চারা।

ছেলেদের জন্য তুলসিতা পাতার উপকারিতা : এই তুলসি পাতা ছেলেদের ও ভিবিন্ন দরনের গোপন সমস্যা দূর করে। এই তুলসি পাতা  ছেলেদের বিশেষ ইস্থান সহযেই উতে*জিত করে  তোলে

এই তুলসি পাতা ছেলেদের মিলনের ক্ষমতা ঠিক রাখতেও সাহায্য করে থাকে। তুলসি পাতা ছেলেদের পেট ক্লিয়ার রাখতেও সাহায্য করে থাকে।

পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায় : আপনাদের পায়খানা ক্লিয়ার করতে সাহায্য করে এই তুলসি পাতা। আপনাদের যাদের ৩ থেকে ৪ দিন দরে পায়খানা হয় না, আবারা যাদের পায়খানা ক্লিয়ার হয় না তারাও এই তুলসি পাতা খেতে পারেন।

প্রস্রাব ক্লিয়ার করার উপায় : আপনাদের যাদের প্রস্রাব ক্লিয়ার হয় না তারাও এই তুলসি পাতা খেতে পারেন। আপনাদের যদি প্রস্রাব করার সময় জালা-পোরা করে তখন ও আপনারা এই তুলসি পাতা খেতে পারেন।

তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়ম

আপনারা তুলসি পাতা খেলেই হবে না, এই তুলসি পাতা খাওয়ার নিয়মে রয়েছে সেই নিয়মগুলো ডাক্তার নাদিয়া বলে দিয়ছেন।

আপনারা তুলসি পাতার রস নিবেন ৮ থেকে ১০ গ্রামের মতো তারপর আপনারা রাতে ঘুমানোর আগে তুলসি পাতার রস খেয়ে নিবেন। আপনারা তুলসি পাতার রস খাওয়ার ২ ঘন্টার ভিতরে কিছুই খাবেন না।

আপনারা রাতে তুলসি পাতা খাওয়ার পরে, সকালে খালি পেটে  আবার খাবেন কিন্তু আপনারা সকালে ৫ থেকে ৬ গ্রামের মতো খাবেন। আপনারা যদি ৭ দিন পর্যন্ত এই তুলসি পাতা খেতে পারেন তাহলে আওনারা আপনাদের শরীলের উপকারগুলো নিজেই দেখতে পারবেন।

তুলসি পাতার অপকারিতা

তুলসি পাতা আপনারা যদি অতিরিক্ত খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের পেটে জালা-পোড়া করবে। আপনারা যদি তুলসি পাতার রস বেশি খান তাহলে আপনাদের পেটে গ্যাস জমে জেতে পারে।

তুলসি পাতা আপনারা যদি পরিমান মতো খান আপনাদের তেমন কোন সমস্যা হবে না, আপনারা যদি তুলসি পাতা বেশি খান তাহলে আপনাদের সমস্যা হবে।

বাসক পাতার উপকারিতা

আপনারা তুলসি পাতার উপকারিতা জানতে পেরেছেন এখন আপনাদের বাসক পাতার অসাধারন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে বলবো।

মিলনের ক্ষমতার জন্য বাসক পাতার উপকারিতা

এই তুলসি পাতা ছেলে ও পুরুষের মিলনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার সাথে সাথে আপনাদের মিলন অক্ষমতাও  দূর করে ফেলবে ডাক্তারেরা বলেছেন।

আমরা অনেকেই নতুন বিয়ে করার পরে দেখা যায় শরীলে শক্তি পাই না আর শরীলের পুষ্টি ক্যালসিয়াম এর অভাব দেখা দেয়। আপনারা যদি এই বাসক পাতা খান তাহলে আপনাদের ভিবিন্ন খাবারের ক্যালসিয়াম পুষ্টি বৃদ্ধি করবে এই বাসক পাতা।

ইন্ডিয়ার অনেক দরনের মেডিসিন বানাচ্ছে এই বাসক পাতা দিয়ে। এই বাসক পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা ডক্তারদের ও  জিজ্ঞেস করতে পারেন।

ব্রণ দূর করার উপায়

আপনারা যদি ব্রণ দূর করতে চান তাহলে আপনাদের মুখে এই বাসক পাতার রস ব্যাবহার করতে পারেন। আপনারা যদি বাসক পাতার রস মুখে ব্যাবহার করেন তাহলে আপনাদের ব্রণ দূর হয়ে যাবে।

এই বাসক পাতা আপনাদের মুখের ব্রণ দূর করার সাথে সাথে আপনাদের মুখ ও উজ্জল করবে। তাই আমি আপনাদের বলবো আপনারা আপনাদের মুখের জন্য এই বাসক পাতা ব্যাবহার করতে পারেন।

পেট ব্যাথার জন্য বাসক পাতার উপকারিতা

আমরা ভিবিন্ন দরনের বাহিরের খাবার খাওয়ার কারনে আমাদের পেট ব্যাথা করে, আপনারা সেই পেট ব্যাথা থেকে যদি মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনারা বাসক পাতা খেয়ে নিবেন। এই বাসক পাতা আপনাদের পেটের নানা রকমের খারাপ পাদার্থ দূর করে ফেলে যার কারনে আপনাদের পেট ক্লিয়ার হবে আর পেট ব্যাথাও দূর হবে।

মাথা ব্যাথার জন্য বাসক পাতা

আপনারা যদি আপনাদের মাথা ব্যাথা দূর করতে চান তাহলে এই বাসক পাতা খেতে পারেন।

বাসক পাতা খাওয়ার নিয়ম

এই বাসক পাতা খাওয়ার কিছু নিয়ম বলে দিয়েছেন আয়ুর্বেদী চিকিৎসকেরা

এই বাসক পাতা আপনারা যদি মধুর সাথে খেতে পারেন তাহলে বেশি উপকার পাবেন। আপনারা বাসক পাতার রস প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় ১ বার খেয়ে ঘুমিয়ে জাবেন। আপনারা ১৫ থেকে ২০ দিন খাবেন এই বাসক পাতার রস তাহলে আপনারা আপনাদের উপকারগুলো দেখতে পারবেন।

বাসক পাতার অপকারিতা

আপনারা যদি বাসক পাতা বেশি খান তাহলে আপনাদের কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাসক পাতার রসের তেমন কোন অপকারিতা নেই। বাসক পাতা আপনাদের ছোট্ট ছোট্ট কিছু অপকার করে থাকে যেই অপকারগুলো তেমন কোন সমস্যা করে না।

তুলসি পাতা ও বাসক পাতার বিস্তারিত

তুলসি পাতা আর বাসক পাতার উপকারিতা ও অপকারতা ২ টাই রয়েছে। কিন্তু এই তুলসি পাতা আর বাসক পাতার উপকার বেশি।

বিজ্ঞানিরা বলেছনে এই তুলসি  পাতা আর বাসক পাতা মানুষের শরীলের ১০০০ রোগের উপকারে আসে তাহলে আপনারা বুজতেই পারছেন তুলসি পাতা আর বাসক পাতার উপকারিতা কতটা বেশি।

আমি আপনাদের একটাই কথা বলবো আপনারা তুলসি পাতা আর বাসক পাতা সব সময় খেতে পারেন। আপনাদের শরীলে কোন রোগ না থাকলেও আপনারা এই তুলসি পাতা আর বাসক পাতা খান। তাহলে আপনাদের শরীলে সহযে রোগ হবে না। সুস্থ জীবনের জন্য বাসক পাতা আর তুলসিনপাতা অনেক দরকারি।।