অনিয়ন্ত্রিত হরমােন ব্যবহারের ফলাফল (Resultof uncontrolled use of Hormone)
![]() |
দেই সচল, কর্মক্ষম রাখতে অতি অল্প ও নির্দিষ্ট পরিমাণ হরমােন দেহে প্রয়ােজন হয়।"থাইরয়েড হরমোন টেস্ট" কারও দেহে পরিমিত হরমােন ক্ষরিত না হলে নানা জটিল অবস্থা দেখা দিয়ে জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলতে পারে এমন অবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের
পরামর্শ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনায় নির্দিষ্ট হরমােন ব্যবহার করতে হয়। হরমােনের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার কষ্টদায়ক জীবনের অবসান ঘটালেও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারটি উল্টো ফল বয়ে আনে।
নিচে কয়েকটি প্রধান হরমােনের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলাফল উল্লেখ করা হলাে।
১. বৃদ্ধি হরমােন : দেহকে স্থিতিশীল ও বৃদ্ধিসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে অতিরিক্ত বৃদ্ধি হরমােন ব্যবহারের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, "থাইরয়েড হরমোন টেস্ট" রক্তে প্রচুর ফ্যাট, ডায়াবেটিস, সন্ধিব্যথা, হৃৎপিন্ড বড় হয়ে যাওয়ায় হার্ট ফেইলিউর এবং হাত, পা, মাথার হাড়
অস্বাভাবিক বড় হয়ে যাওয়া ।
২. থাইরক্সিন : থাইরক্সিনের স্বল্পতা পূরণে যে সংশ্লেষিত হরমােন (Levothyroxine) ব্যবহার করা হয় তাতে কেবল থাইরয়েড হরমােন স্বল্পতাই পূরণ হয় না, সে সঙ্গে থাইরয়েড ক্যান্সার এবং গলগণ্ড প্রতিরােধেও সহায়ক হয় ।
কিন্তু অতিমাত্রায় ব্যবহার হলে যে সব জটিলতা
দেখা দেয় তার মধ্যে উল্লেখযােগ্য
হচ্ছেঃ
ছদ্ম-গলগন্ড হতে পারে;"হরমোন সমস্যা সমাধানের উপায়" তা ছাড়া দ্রত হৃৎস্পন্দন, উদরীয় ব্যথা, চিন্তাগ্রস্ততা, খিটখিটে মেজাজ, ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুধাবৃদ্ধি প্রভৃতি। অ্যালার্জিক
প্রতিক্রিয়ায় শ্বাসকষ্ট, ঘন ঘন শ্বাস নেওয়া এবং মুখমন্ডল ও জিহ্বা ফুলে যায়। হার্ট ফেইলিউর এবং রক্তে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস মাত্রার অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে ।
৩. এপিনেফ্রিন (অ্যাড্রেনালিন) : ফুসফুসের ভেতরে বাতাস চলাচলের নালি খুলতে, রক্তবাহিকা সংকীর্ণ করতে এবং বিভিন্ন মারাত্মক অ্যালার্জিক ক্রিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করতে সংশ্লেষিত এপিনেফ্রিন ব্যবহৃত হয়।"হরমোন সমস্যা সমাধানের উপায়" অতিমাত্রায় ব্যবহৃত হলে দেখা দেয় উচ্চ রক্তচাপ, সঙ্গে মাথাব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, দুঃশ্চিন্তা, দ্বিধাদ্বন্ধ, বুকব্যথা, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, হঠাৎ দুর্বলতা, কথাবলা বা হাঁটাচলায় ভারসাম্যহীনতা, ঘনঘন শ্বাস নেওয়া প্রভৃতি।
৪. টেস্টোস্টেরণ : এটি পুরুষের অত্যন্ত প্রয়ােজনীয় হরমােন। এর স্বাভাবিক ক্ষরণে পুরুষ যৌনাঙ্গ সুগঠিত রাখে, গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটিয়ে পৌরুষ প্রদর্শন করে। বড়ি বা ইনজেকশনের মাধ্যমে টেস্টোস্টেরণের অভাব পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু এর অতিব্যবহারে প্রথমে দুর্বলতা, নিদ্রালুভাব, গায়ে ব্যথা, চামড়ায় জ্বালাপােড়া ভাব, মনােযােগহীনতা, হাত-পায়ের আঙ্গুল ঠান্ডা হয়ে আসা প্রভৃতি দেখা দেয়। পরে শুক্রাশয়ে ব্যথা, দ্রুত বা মন্থর হৃৎস্পন্দন,
রক্তময় মলত্যাগ, মূত্রথলিতে ব্যথা, পিঠের দুপাশে বা মাঝখান ধরে ব্যথা, ডায়ারিয়া প্রভৃতি জটিল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
৫. এস্ট্রোজেন : এস্ট্রোজেন নারীদেহের গুরুত্বপূর্ণ হরমােন।"হরমোন কি কারনে হয়" পরিমিত এস্ট্রোজেন নারীদেহকে সুস্থ, সবল ও সুদর্শন রাখে। কোনাে কারণে দেহে অপর্যাপ্ত হরমােন উৎপন্ন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এস্ট্রোজেনবাহী বড়ি বা ইঞ্জেকশন
ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এসব সামগ্রীর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে নারী বিভিন্ন জটিলতায় ভুগে, যেমন- স্তন দৃঢ় হয়ে যাওয়া, ঢুলুঢুলুভাব, অতিরিক্ত রক্তস্রাব, মাথাব্যথা, মানসিক ভাবের পরিবর্তন, বমিভাব, ত্বকে ফুসকুড়ি, মূত্রের রং পরিবর্তন।
৬. ইনসুলিন : আজকাল অনেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে ইনজেকশনের মাধ্যমে ইনস্যুলিন নিয়ে জীবনযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।"হরমোন কি কারনে হয়" কিন্তু এর ব্যবহার কঠোর নিয়ন্ত্রণে না থাকলে নতুন নতুন জটিলতায় ভােগার সম্ভাবনা থাকে, যেমন
অবসাদ, ঢুলুঢুলুভাব, মাথাব্যথা, ক্ষুধা, মনােযােগে ব্যর্থ হওয়া, বমিভাব, স্নায়ুদৌর্বল্য, ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন, দ্রুত হৃৎস্পন্দন, ঘুমে ব্যঘাত, খিচুনি, ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
ইত্যাদি।
আশা করি আমাদের এই লেখাগুলো আপনার ভাল লেগেছে।যদি ভাল লেগে থাকে তবে আপনার পরিবার, পরিজন, বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। "টেস্ট, থাইরয়েড টেস্ট রিপোর্ট" নিজে সুস্থ থাকুন অন্যদেরও সুস্থ থাকত সহায়তা করুন।যদি আপনি কোন সমস্যাই ভুগে থাকেন তবে কমেন্ট করে আমাদের জানান আমরা সেই বিষয়ে লেখার চেষ্টা করব।
0 মন্তব্যসমূহ