ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন 


ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন


ওপেন হার্ট সার্জারি (Open Heart Surgery)


শল্যচিকিৎসক যখন রােগীর বুক কেটে উন্মুক্ত করে হৃৎপিন্ডে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন তখন সে প্রক্রিয়াকে ওপেন হার্ট সার্জারি বলে। "বাইপাস সার্জারির পর সমস্যা" এটি একটি বড় শল্যচিকিৎসামূলক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে হৃৎপিন্ড সংক্রান্ত অনেক জটিল সমস্যা ও

রােগ মুক্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় । অন্য সব চিকিৎসার পরও যদি হৃৎপিন্ডে বড় ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে ওপেন হার্ট সার্জারি ছাড়া উপায় থাকে না।


ওপেন হার্ট সার্জারির প্রকারভেদ


ওপেন হার্ট সার্জারী প্রধানত নিচেবর্ণিত তিন উপায়ে করা হয়।


১. অন-পাম্প সার্জারি (On-pump surgery) :


 এ ধরনের সার্জারীতে একটি হৃদ-ফুসফুস মেশিনে যা কার্ডিওপালমােনারি বাইপাস (cardiopulmonary bypass) নামে পরিচিত সেটি ব্যবহার করা হয়। এ যন্ত্রটি সাময়িকভাবে হৃৎপিন্ডের কাজের দায়িত্ব নিয়ে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্ত পাম্প করে বিভিন্ন অঙ্গ ও টিস্যুতে প্রেরণ করে। এটি হচ্ছে প্রচলিত পদ্ধতি। "বাইপাস সার্জারির পর সমস্যা" এ প্রক্রিয়ায় শল্যচিকিৎসক যখন অস্ত্রোপচার করেন তখন হৃৎপিন্ডে রক্তও থাকে না, হৃৎস্পন্দনও হয় না।


২. অফ-পাম্প সার্জারি বা বিটিং হার্ট (Off-pump surgery or Bcating heart) : 


এ ধরনের সার্জারিতে হৃদফুসফুস মেশিন ব্যবহৃত হয় না, বরং চিকিৎসক সক্রিয় হৃৎস্পন্দনরত হৃৎপিন্ডেই অস্ত্রোপচার করেন। "বাইপাস সার্জারির পর সমস্যা" তবে হৃৎস্পন্দনের

হার ওষুধ প্রয়ােগের মাধ্যমে বা অন্য কোনাে উপায়ে সামান্য মন্থর করে রাখা হয়।


৩. রােবট-সহযােগী সার্জারি (Robot-assisted surgery) : এ ধরনের সার্জারিতে শল্যচিকিৎসক বিশেষ কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত রােবটিক হাত (যান্ত্রিক হাত)-এর সাহায্যে অস্ত্রোপচার করেন।"বাইপাস সার্জারির পর সমস্যা" চিকিৎসক কম্পিউটার সার্জারির ত্রিমাত্রিক দৃশ্য দেখতে পান এবং কাজ সম্পন্ন করেন। এ ধরনের সার্জারি অত্যন্ত সূক্ষ ও সঠিক হয়ে থাকে।


ওপেন হার্ট সার্জারি পদ্ধতি


একজন কার্ডিওভাস্কুলার শল্যচিকিৎসকের অধীনে একটি শল্যচিকিৎসক দল ওপেন হার্ট সার্জারির মতাে জটিল অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেন। সার্জারির শুরুতে চিকিৎসকের নির্দেশে সাধারণ অ্যানেসথেসিয়া (general anesthesia)

কিংবা স্নায়ুবন্ধক অ্যানেসথেসিয়া (nerve block anesthesia) প্রয়ােগ করা হয়। সার্জারি শুরু হয় বুক ও স্টার্ণাম কেটে বড়-সড় গর্ত সৃষ্টির মাধ্যমে। তা না হলে রােগীর ভেতরটা ভালমতাে দেখা যায় না। "বাইপাস সার্জারির পর সমস্যা" অন-পাম্প সার্জারি হলে ওষুধ প্রয়ােগে হৃৎস্পন্দন বন্ধ করে দিয়ে হৃদ-ফুসফুস মেশিনে (heart-lung machine)-এর সাহায্যে পাম্প করে সারা দেহে রক্তের সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়। সার্জারি শেষে মেশিন খুলে নেওয়া হয় ।


অন্যদিকে, করােনারী আর্টারী বাইপাস সার্জারি বা হৃৎকপাটিকা মেরামত বা পুনঃস্থাপন করার সময় সার্জন আর প্রচলিত বড় ধরনের কাটা-ছেড়া না করে বুকের মাঝামাঝি ছােট ফুটা করে তার ভেতরে ক্যামেরাযুক্ত যন্ত্র ঢুকিয়ে রােগীর অভ্যন্তরভাগ দেখেন ভিডিওর পর্দায়। "বাইপাস সার্জারির পর সমস্যা" এ প্রক্রিয়ায় সার্জারি হলে সময় ও ব্যথা উভয়ই কম লাগে, সংক্রমণজনিত জটিলতাও কম হয়। রােগীর ব্যক্তিগত পছন্দ, শনাক্তকরণ, বয়স, অসুখের ইতিহাস, স্বাস্থ্য ঝুঁকি প্রভৃতির উপর এ ধরনের

সার্জারি নির্ভর করে।


ওপেন হার্ট সার্জারির মৃত্যু ঝুঁকি কেমন?


ওপেন হার্ট সার্জারির মৃত্যু ঝুঁকি এখন আগের মত নেই। অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে এর ঝুঁকি অনেকটা কমে এসে 

এই ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার বড়জোর এক থেকে দুই শতাংশ। "বাইপাস সার্জারির পর সমস্যা" তবে যদি রোগীর অন্য কোন শারীরিক সমস্যা থাকে তবে সমস্যা হতে পারে।যেমন ডায়াবেটিস থাকলে ইনফেকশনের ভয় থাকে। হাইপার-টেনশন থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। যাদের শরীরে চর্বি বেশি থাকে তাদের পোস্ট অপারেটিভ ঝামেলা হয়।


বাংলাদেশে ওপেন হার্ট সার্জারির খরচ কেমন?


একেক হাসপাতালে একেক রকম খরচ। 

আপনি কোন হাসপাতালে যাচ্ছেন বা কোন চিকিৎসক অস্ত্রোপাচার করছেন তার উপর নির্ভর করে খরচ কতকানি হবে। তবে বিএসএমএমইউতে টোটাল দেড় লাখের মত খরচ হতে পারে। 


আশা করি আমাদের এই লেখাগুলো আপনার ভাল লেগেছে।যদি ভাল লেগে থাকে তবে আপনার পরিবার, পরিজন, বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। "বাইপাস সার্জারির পর সমস্যা" নিজে সুস্থ থাকুন অন্যদেরও সুস্থ থাকত সহায়তা করুন।যদি আপনি কোন সমস্যাই ভুগে থাকেন তবে কমেন্ট করে আমাদের জানান আমরা সেই বিষয়ে লেখার চেষ্টা করব। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ