আথ্রাইটিস বা গেঁটেবাত
আথ্রাইটিস এক ধরনের বাতরােগ। "বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ" অনেকদিন যাবৎ বাত জ্বরে ভুগলে এবং এর যথাযথ চিকিৎসা না করা হলে এ রােগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত বয়স্করা এ রােগে আক্রান্ত হয়। কম বয়সী ছেলেমেয়েদের বেলায় গিটে ব্যথা বা য
হওয়া অন্য রােগের লক্ষণ হতে পারে। যেমন- বাতজ্বর বা যক্ষ্মা।
আথ্রাইটিস বা গেঁটেবাত কেন হয়?
গেঁটে বাত একপ্রকার সিনড্রোম, যা ইউরেট নামের একধরনের লবণদানা জমে জোড়া বা সঞ্চিত সৃষ্ট প্রদাহ, যা শরীরের রক্তের প্লাজমায় অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির ফলে ঘটে থাকে। গেঁটে বাত স্বল্পকালীন তীব্র প্রদাহ বা দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ—এই দুই প্রকারের হতে পারে। "বাতের ব্যথার আয়ুর্বেদিক ওষুধ" আবার যে কারণে রক্তের ইউরেট লবণ বেড়ে যায়, তা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন পারিপার্শ্বিক বা পরিবেশগত কারণ, ব্যক্তির খাদ্যাভ্যাসের কারণে বা ব্যক্তির জন্মগত ত্রুটির কারণে, যাকে জেনেটিক কারণও বলা যায়।"বাত ব্যাথার ঔষধের নাম"
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দেহে দুইভাবে জমতে পারে। যেমন অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড উৎপাদন ও ইউরিক অ্যাসিড দেহ থেকে নির্গত হতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া। "বাত ব্যাথার ঔষধের নাম" ইউরিক অ্যাসিড দেহ থেকে সাধারণত কিডনির সাহায্যে বের হয়। কোনো কারণে, বিশেষ করে কিডনির রোগের কারণে কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাসে অসুবিধা হতে পারে।
আথ্রাইটিস বা গেঁটেবাত রোগের লক্ষণ
-অস্থিসন্ধি বা গিটে প্রদাহ বা ব্যথা হয়
- অস্থিসন্ধিগুলাে শক্ত হয়ে যায়
- অস্থিসন্ধি নাড়াতে কষ্ট হয়
- গিট ফুলে যায়।
-হঠাৎ তীব্র ব্যথা, এমনকি ব্যথার কারণে ঘুম ভেঙে যাওয়া।
-পায়ের বুড়ো আঙুলের গোড়া ফুলে লাল হয়ে যাওয়া।
-হাঁটু, কনুই বা অন্য যেকোনো জোড়া ফুলে যাওয়া। ক্রমান্বয়ে হাড় ও তরুণাস্থি ক্ষয় হতে থাকে।
আথ্রাইটিস বা গেঁটেবাত প্রতিকারঃ
বয়স্কদের বেলায় এ রােগ পুরােপুরি সারানাে যায় না। "বাতের ব্যথার লক্ষণ" তবে নিচের ব্যবস্থাগুলাে নিলে কিছুটা উপশম হয়।
- অত্যধিক পরিশ্রম আর ভারী কাজ থেকে বিরত থাকা।
-সম্ভব হলে দিনের বেলায় একটু করে ঘুমিয়ে নিলে উপকার হয়।
-যন্ত্রণাদায়ক গিটের উপর গরম সাক নেওয়া।
অস্থিসন্ধির নড়াচড়া ঠিক রাখতে হালকা ব্যায়াম করা।
-ডাল জাতীয়, বীজজাতীয় খাদ্য পরিহার করা।
-ডাক্তারের প্রামর্শ অনুযায়ী বেদনা উপশমকারী ঔষধ সেবন ও সঠিক চিকিৎসা দ্বারা এ রােগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
- স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বসবাস করা।
আথ্রাইটিস বা গেঁটেবাত প্রতিরােধের উপায়ঃ
-পর্যাপ্ত আলােবাতাস আছে এমন বাসস্থানে বাস করা।
-নিয়মিত ব্যায়াম করা।
-সুষম ও আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা।
আর্থ্রাইটিস বা গেঁটেবাত থেকে সুস্থ থাকার কিছু উপায়
-যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
-ব্যথার ওষুধ বেশি ব্যবহার না করে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করুন।
-শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা।
- অতিরিক্ত বিশ্রামের পরিবর্তে কাজে ব্যস্ত থাকার অভ্যাস গড়ে তুলা।
-নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস গড়ে তুলা।
-অবসর সময় প্রিয়জনের সঙ্গে অতিবাহিত করুন।
আর্থ্রাইটিস বা গেঁটেবাত থেকে বাঁচার জন্য যে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
-টেবিলে বসে ঝুঁকে পড়াশোনা না করা।
- নরম সোপা এবং উঁচু বালিশ বেশি ব্যবহার না করা।
- দেহের মেদ ভূড়ি কমানো ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
- টেনশন কমানো।
-নিয়মিত হালকা কিছু ব্যায়াম করা।
-নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করুন।
-চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং সময়মতে ঔষুধ সেবন করা।
- রাগ,ক্ষোভ, ঈর্ষা, সন্দেহ দুরারোগ্য ব্যাধি সৃষ্টি করে। "বাতের ব্যথার লক্ষণ" এগুলো ঝেড়ে ফেলুন, আপনার সুস্থ থাকার সামর্থ্য বেড়ে যাবে।
-উপদেশ-সম্পূর্ণ বিশ্রাম ৩-৭ দিন।
আশা করি আমাদের এই লেখাগুলো আপনার ভাল লেগেছে।"বাতের ব্যথার লক্ষণ" যদি ভাল লেগে থাকে তবে আপনার পরিবার, পরিজন, বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। নিজে সুস্থ থাকুন অন্যদেরও সুস্থ থাকত সহায়তা করুন।যদি আপনি কোন সমস্যাই ভুগে থাকেন তবে কমেন্ট করে আমাদের জানান আমরা সেই বিষয়ে লেখার চেষ্টা করব।
0 মন্তব্যসমূহ