প্রস্রাব সম্পর্কে ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখুন
আপনারা প্রস্রাবের ৮ টি বিষয় জানতে পারবেন যদি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ন পোস্ট পাঠা করতে পারেন।প্রস্রাব সম্পর্কে আজকে বলবেন ডাক্তার নিলিমা আক্তার, ডাক্তার রায়হান খান, ডাক্তার ফারজানা। তারা প্রস্রাব সম্পর্কে সব দরনের তথ্য দিবেন আপনাদের।
প্রস্রাবের ইনফেকশন - prosab infection
আমাদের দেশের ৫০% থেকে ৬০% মানুষের প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন হয়ে থাকে যার কারনে ঠিক মতো প্রস্রাব হয় না এবং ভিবিন্ন দরনের সমস্যা দেখা দেয়। প্রস্রাবের ইনফেশনের লক্ষন কি সেটা আমরা এখন জেনে নেই তারপর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানবো।
প্রস্রাবের ইনফেকশনের লক্ষন কি
প্রস্রাবের ইনফেকশন হওয়ার আগে আপনারা কিছু লক্ষন দেখতে পারবেন যেই লক্ষন গুলো জানলে আপনারা সাবধান হতে পারবেন।
১) আপনাদের ঠিক মতো প্রস্রাব না হলে মনে করতে হবে আপনাদের প্রস্রাবের রাস্তায় যেই কোন সময় ইনফেকশন হতে পারে।
২) প্রস্রাব হলুদ হলেও আপনাদের সতর্ক হতে হবে, প্রস্রাব হলুদ হলে আপনারা যদি কোন পদক্ষেপ না নেন তাহলে বড় কোন ইনফেকন হতে পারে আপনাদের প্রস্রাবের রাস্তায়।
৩) আপনাদের যদি অতিরিক্ত প্রস্রাব হয় তাহলেও আপনাদের বুজতে হবে প্রস্রাবের রাস্তায় ইনফেকশন হতে পারে।
৪) আপনাদের প্রস্রাবের রাস্তায় যদি ব্যাথা করে তাহলেও আপনাদের বুজতে হবে আপনাদের প্রস্রাবের রাস্তায় কোন ইনফেকশন দেখা দিতে পারে।
প্রস্রাবের ইনফেকশন এর লক্ষন গুলো আপনারা বুজতে পেরেছেন আসা করি। আপনাদের যদি উপরের লক্ষন গুলো দেখা দেয় তাহলে আপনারা কি করবেন সেটাও আপনাদের বলে দিবো।
> ৫ মিনিটে পায়খানা ক্লিয়ার করার উপায়
> ১৫ মিনিটে ডায়বেটিস নিয়ত্রন করুন
প্রস্রাবের ইনফেকশন দেখা দিলে আপনারা আয়ুর্বেদি চিকিৎসা করতে পারেন যেই চিকিৎসা এর মাধ্যমে আপনাদের প্রস্রাবের ইনফেকশনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আপনারা প্রথমে নিম পাতা নিবেন আপনারা নিম পাতা নেওয়ার পরে সেই নিম পাতার থেকে ১৫ থেকে ২০ গ্রাম রস বের করবেন। আপনারা ১৫ থেকে ২০ গ্রাম নিম পাতার রস রাতে ঘুমানোর আগে ১ বার খাবেন আর সকালে খালি পেটে ১ বার খাবেন তাহলে দেখবেন আপনাদের প্রস্রাবের ইনফেকশন দূর হয়ে গিয়েছে।
নিম পাতার রসের মাধ্যমে প্রস্রাবের ভিবিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন অনেক মানুষ আপনারাও পাবেন যদি সব সময় নিম পাতা খেতে পারেন।
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হলে করনীয়।
আমাদের দেশের ৬০% থেকে ৭০% মানুষের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। আপনাদের যদি প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া করে কি করবেম আসুুুনে জেনে নেই।
১) আপনাদের প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হলে আপনারা লেবু খাবেন, লেবুু আপনাদের প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কমাবে কারন লেবুতে রয়েছে এসিডিটি জেটা প্রাস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর করে ফেলে।
২) আপনারা কমলা আর মালতা খেতে পারেন, আপনারা এই ২ টি খাবার খেলেও আপনাদের প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া দূর হয়ে যাবে। এই ২ টি খাবারে রয়েছে ভিটামিন-সি আর প্রাস্রাবের সব দরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে ভিটামিন -সি। তাই আপনারা ভিটামিস-সি যুক্ত খাবার বেশি করে খাবেন।
আপনারা উপরের ২ টি উপায় আপনাদের প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
প্রস্রাব ক্লিয়ার করার উপায় - prosab problem
আপনারা ৫ মিনিটে আপনাদের প্রস্রাব ক্লিয়ার করতে পাবেন। আপনাদের এখন যেই নিয়মগুলো বলবো আপনারা সেই নিয়ম মেনে যদি ২ টি খাবার খেতে পারেন ৫ মিনিট পর আপনার প্রস্রাব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
আপনারা যদি সঠিক নিয়মে তালমাখনা আর ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন তাহলে আপনাদের প্রস্রাব অবশ্যই ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
আপনারা ইসবগুলের ভুসি আর তালমাখনা এক সাথে মিক্স করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট বিজিয়ে রাখবেন তারপরে আপনারা সেই পানি সহ তালমাখনা আর ইসবগুলের ভুসি খেয়ে নিবেন। তাহলে আপনাদের প্রস্রাব ৫ মিনিটের ভিতরে ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
প্রস্রাব না হওয়ার কারন
প্রস্রাব না হওয়ার কারন আমরা অনেকেই জানি না, কিন্তু আমি আপনাদের বলবো প্রতিটি মানুষের জানা দরকার প্রস্রাব বন্ধ হওয়ার কারনগুলো কি কি।
১) আপনারা যদি ঠিক মতো পানি না খান, তাহলে আপনাদের শরীলে পানি সল্পতা দেখা দেয় যার কারনে আপনাদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২) আপনারা যদি অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার খান, তাহলে আপনাদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩) আপনাদের শরীলে যদি ভিটামিন-সি এর অভাব থাকে তাহলেও আপনাদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৪) আপনাদের প্রস্রাবের রাস্তায় যদি কোন ইনফেকশন থাকে তাহলেও আপনাদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারেন।।
বেশির ভাগ মানুষের এই ৪ টি কারনেই প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। তাই আপনারা এই ৪ টি সমস্যা বুজে চলেবেন।
প্রস্রাব গন্ধ হওয়ার কারন
আমাদের অনেকেই প্রস্রাবে গন্ধ দেখা দেয়, কিন্তুু কেন আসে আমরা অনেকেই জানি না।
আপনারা ঠিকমতো পানি না খাওয়ার কারনে আপনাদের প্রস্রাব থেকে গন্ধ আসতে পারে। আপনাদের শরীলে ভিটামিন-সি এর অভাব দেখা দিলেও প্রস্রাবের থেকে গন্ধ আস্তে পারে।
আপনারা যদি ঠিক মতো পানি পান করেন, ফল খান, শাক-সবজি খান তাহলে আপনাদের প্রস্রাব থেকে গন্ধ আসবে না।
প্রস্রাব আটকে রাখলে কি হয়
প্রস্রাব আটকে রাখলে কি হয় সেটা আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু আপনারা যদি প্রস্রাব আটকে রাখেন তাহলে আপনাদের মারাত্মক কিছু ক্ষতি হতে পারেন।
১) প্রস্রাব আটকে রাখার কারনে আপনাদের মূত্রনালির ব্যাক্টিরিয়া ২ গুন বেশি ক্ষতি করে থাকেন।
২) আপনারা প্রস্রাব আটকে রাখার কারনে আপনাদের কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারেন। আর প্রস্রাব আটকে রাখলে আপনাদের কিডনি দূর্বল হতে থাকেন।
৩) আপনারা যদি প্রস্রাব আটকে রাখেন তাহলে আপনাদের মুখে ব্রন হতে পারে৷ প্রস্রাব আটকে রাখার কারনে মুখের জীবনু শক্তিশালি হয়ে উঠবে।
৪) প্রস্রাব আটকে রাখার কারনে আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। আর আপনাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ভিনিন্ন দরনের রোগ দেখা দিবে।
প্রস্রাব হলুদ হওয়ার কারন
আপনারা যদি গরমের দিনে ৩ থেকে ৪ গ্লাস পানি পান করেন তাহলে আপনাদের প্রস্রাব হলুদ হবেই এটাই সাভাবিক। আপনারা গরমের দিনে ৮ থেকে ৯ গ্লাস পানি পান করলে প্রস্রাব হলুদ হবে না। আপনাদের শরীলে পানি সল্পতা দেখা দিলেই প্রস্রাব হলুদ হয়।
আপনাদের যদি জন্ডিসের সমস্যা থাকে তাহলেও আপনাদের প্রস্রাব হলুদ হবে। জন্ডিসের রোগীর সব সময় প্রস্রাব হলুদ থাকে।
ঘন ঘন প্রস্রাব চিকিৎসা
আপনাদের যদি ঘন ঘন প্রস্রাব হয় তাহলে আপনারা অবশ্যই পানি কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনারা যদি পানি কম পান করেন তাহলে আপনাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হবে না।
ডায়বেটিস থাকলে ঘন ঘন প্রস্রাব হবে। আপনারা আপমাদের ডায়বেটিস নিয়ত্রনে রাখতে পারলে আপনাদের ঘন ঘন প্রস্রাব হবে না।
ঘন ঘন প্রস্রাবের চিকিৎসা আরেকটি রয়েছে, আপনারা অবশ্যই কাচা হলুদের রস আর নিম পাতার রস খেলে আপনাদের ঘন ঘন প্রস্রাব আর হবে না।
৫ মিনিটে প্রস্রাবের সব সমস্যা থেকে মুক্তি
আপনারা যদি সকালে খালি পেটে ১ টি আয়ুর্বেদি চিকিৎসা খেতে পারেন তাহলে ৫ মিনিটে আপনাদের প্রস্রাবের সব দরনের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
কাচ হলুদের রস, কালোজিরা, মধু, নিম পাতার রস, তালমাখনা এই খাবার গুলো একসাথে মিক্স করে আপনারা যদি খালি পেটে খেটে খেতে পারেন তাহলে আপনাদের প্রস্রাবের সব দরনের সমস্যা ৫ মিনিটের ভিতরে কমে যাবে।
আপনারা ১ দিন এই আয়ুর্বেদি চিকিৎসা করে দেখুন তাহলেই বুজতে পারবেন।
0 মন্তব্যসমূহ