ডায়বেটিস ১৫ মিনিটে কিভাবে নিয়ত্রন করবেন
ডায়বেটিস সম্পর্কে আপনাদের ৪ টি তথ্য জানা জরুরি, আপনারা ৪ টি তথ্য জানলে আপনাদের ডায়বেটিস কখনই হবে না, আর আপনাদের ডায়বেটিস হয়ে থাকলে সেই ডায়বেটিস ১৫ মিনিটে নিয়ত্রন করতে পারবেন৷
আজকে ডায়বেটিস সম্পর্কে আপনাদের বলবেন ডাক্তার সুলতানা, আপনারা ডায়বেটিসের চিকিৎসা অথবা কোন কিছু জানতে ০১৭৯০১১৮৮৫৫ এই নাম্বারে কল করে জানতে পারেন। কিন্তু আপনারা যদি সম্পূর্ন পোস্ট পাঠ করেন তাহলে আপনাদের কিছু জানার দরকার নেই ফোন করে, এই খান থেকেই সবকিছু জেনে জাবেন আপনারা।
ডায়বেটিস কমানোর উপায়
আমরা প্রথমে ডায়বেটিস কমানোর উপায় জেনে নিবো তারপরে আপনাদের বলবো আপনারা কিভাবে ১৫ মিনিটে ডায়বেটিস নিয়ত্রনে রাখতে পারবেন।
আমাদের যাদের ডায়বেটিস এর পয়েন্ট অনেক বেশি তারা দ্রুত ওজন নিত্রনের চেষ্টা করবেন। আপনারা যদি প্রতিদিন সকালে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাটা চলা করতে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনাদের ডায়বেটিস আস্তে আস্তে কমে আসবে।
আমরা অনেকেই ডায়বেটিস হওয়ার পরেও ওজনের দিকে খেল করি না, সঠিক খাবার খাই না, সারা দিন ঘরে আর অফিসেই থাকি, এই সব কারনে আপনাদের ডায়বেটিস দ্রুত বাড়তে থাকে। কিভাবে ডায়বেটিস কমাবেন আসুন জেনে নেই।
১) ওজন কমানো - ডায়বেটিস জাদের হয় তাদের ওজন অনেক থাকে, আপনারা চেষ্টা করবেন আপনাদের ওজন আস্তে আস্তে কমানোর জন্য তাহলে দেখবেন আপনাদের ডায়বেটিস কমতে থাকবে। আপনাদের ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন আর বেশি করে হাটাহাটি করবেন।
২) ঘুম - আমরা অনেকেই আছি রাত জেগে থাকি, আর রাত জাগার কারনে সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠি। আপনারা যদি নিয়ম অনুযায়ি না ঘুমান তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস বাড়বেই।
আপনারা অবশ্যই প্রতিদিন নিয়ম অনুযাই ঘুমাবেন, আপনারা যদি নিয়ম অনুযায়ি ঘুমাতে পারেন তাহলে ১৫ থেকে ২০ দিনের ভিতরে আপনাদের ডায়বেটেস অনেক কমে যাবে।
৩) খাবার - আমরা ডায়বেটিসের সময় যেই খাবার খাওয়া নিষেদ্ধ সেই খাবার খেয়ে থাকি, আবার যেই খাবার খাওয়া দরকার সেই খাবার আমরা খাই না। আপনাদের জানতে হবে ডায়বেটিসের সময় কি খাবার খেতে হবে আর কি খাবার খাওয়া ছাড়তে হবে।
আপনারা যদি উপরের ৩টি বিষয় মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনাদের ডায়বেটি নিয়ত্রনে থাকবে আর আপনাদের শরীল ও খারাপ হবে না ডায়বেটিসের জন্য ।
ডায়বেটিস নরমাল কত পয়েন্টে আপনাদের সেটা জানতে হবে, আপনারা ১ সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার পরিক্ষা করবেন।
ডয়বেটিস নরমাল কত পয়েন্টে
ডায়বেটিস কত হলে নরমাল আমরা অবেকেই জানি না, ডায়বেটিস কত হলে নরমাল আর কত হলে বেশি হয়ে গেছে এই বিষয়গুলা জানাটা জরুরি। আমরা এখন আপনাদের বলে দিবো ডায়বেটিস কত হলে নরমাল
ডায়বেটিসের মাত্রা কত হলে কি হয়
• ডায়বেটিসের মাত্রা যদি ৫.৮ হয় তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস নেই।
• ডায়বেটিসের মাত্রা যদি ৫.৮ এর বেশি থাকে তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস হওয়ার সম্বাভনা রয়েছে।
• ডায়বেটিসের মাত্রা যদি ৭.৮ এর থেকেও বেশি থাকে, আর আপনাদের শুগার ১১ অথবা এর থেকে বেশি থাকে তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস আছে আর সেটা নরমাল।
তাহলে আপনারা বুজতে পেরেছেন ডায়বেটিস কত হলে নরমাল আর কত হলে ডায়বেটিস নেই ।
ডায়বেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা
ডায়বেটিস রোগীর খাবার সম্পর্কে আপনাদের দারনা থাকতে হবে, আপনারা যদি কিছু খাবার নিয়ম মেনে খান তাহলে আপনাদের ১৫ মিনিটে ডায়বেটিস নিয়ত্রন হয়ে যাবে।
আপনারা খাবারগুলো অবশ্যই নিয়ম মেনে খাবেন তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস অবশ্যই নিয়ত্রনে থাকবে।
১ নিম পাতা - আপনারা যদি নিম পাতা সঠিক নিয়মে খেতে পারেন তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস ১৫ থেকে ২০ মিনিটে নিয়ত্রন হয়ে যাবে।
আপনাদের যখন ডায়বেটিস অনেক বেশি হয়ে যাবে তখন আপনারা ৩০ গ্রাম নিম পাতার রস নিবেন তারপর আপনারা ৫ মিনিট পর পর ১০ গ্রাম করে ৩ বাড়ে খাবেন। ১৫ মিনিটে যদি ৩ বার নিম পাতার রস খান তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস ১৫ মিনিটেই অনেকটা কমে আসবে।
আপনারা নিম পাতার রস খাওয়ার পরে ১ ঘন্টার ভিতরে অন্য কোন খাবার খাবেন না। আপনারা নিম পাতার রস খেলে ১ দিনের ভিতরে সম্পূর্ন ডায়বেটিস কমে আসবে।
২. সবজি- আমরা অনেকেই ভাত নেই অনেক কিন্তু সবজি খাই কম। আপনারা ৫০% ভাত রাখবেন আর ৫০% সবজি অথবা নিরামিষ রাখবেন তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস নিয়ত্রনে থাকবে আর ডায়বেটিস বেশি থাকলে কমে যাবে।
৩- কালোজিরা এবং মধু - আপনাদের ডায়বেটিস যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে আপনারা কালোজিরা আর মধু খেতে পারেন কিছু নিয়ম মেনে।
কালোজিরা আর মধু হচ্ছে একটি প্রকৃতিক খাবার, আপনারা এই ২ টি খাবার খেয়ে কোন ক্ষতি ছাড়াই আপনাদের ডায়বেটিস কমাতে পারবেন। আপনাদের যদি ডায়বেটিস বেশি হয়ে যায় তাহলে আপনারা অবশ্যই কালোজিরা আর মধু এক সাথে মিক্স করে খেয়ে নিবেন ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের ভিতরে ডায়বেটিস ভালো হতে থাকবে।
৪ ফল - আপনারা মালতা, আমলকি, কমলা, আপেল, জাম, কলা, এই ফলগুলো বেশি করে খাবেন তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস অবশ্যই নিয়ত্রনে থাকবে আর আপনাদের ডায়বেটিস না থাকলেও কখনো হবেই না।
আপনারা৷ যদি উপরের নিয়মগুলি মেনে চলতে পারেন তাহলে ডায়বেটিস আপনাদের কিছুই করতে পারবে না। ডায়বেটিস আপনারা ঔষধ ছাড়াই এখন নিয়ত্রন করতে পারবেন মাত্র ১৫ মিনিটের ভিতরে।
ডায়বেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার
ডায়বেটিস রোগীদের নিষিদ্ধ কিছু খাবার রয়েছে যেই খাবার খাওয়ার কারনে আপনাদের ডায়বেটিস নরমালের থেকে বেশি বেড়ে যেতে পারে। আসুন তাহলে ডায়বেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার সম্পর্কে আমরা জেনে নেই।
ভাত : ডায়বেটিস রোগীরা ৩ বেলা ভাত খেতে পারবে না, আপনারা ৩ ভেলা ভাত খেলে আপনাদের ডায়বেটিস অনেক বেড়ে যাবে। আপনারা চেষ্টা করবেন দুপুরে ১ বেলা খাওয়ার জন্য।
মাংস : আমরা প্রতিদিন মুরগীর মাংস, গরুর মাংস, ছাগলের মাংস, হাসের মাংস, ভিবিন্ন দরনের মাংস খেয়ে থাকি আর এই মাংস আমাদের ডায়বেটিস আরো বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আপনাদের ডায়বেটিসের সমস্যা থাকলে আপনারা অবশ্যই মাংস কম খাবেন।
তেল যুক্ত খাবার : আমরা অনেকেই বাহিরের তেল যুক্ত খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু যাদের ডায়বেটিস রয়েছে তারা বাহিরের খাবার অনেক কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন আর আপনারা তেল যুক্ত খাবার ও অনেক কম খাবেন। তেল যুক্ত খাবার ডায়বেটিস দ্রুত বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
ডায়বেটিসের লক্ষন
আমরা অনেকেই জানি না, আমাদের ডায়বেটিস হয়েছে কি না। আজকে আপনাদের কিছু ডায়বেটিস রোগীর লক্ষন সম্পর্কে বলবো।
• আপনার যদি ডায়বেটিস থাকে তাহলে আপনি পানি পান করার পরেও আপনাদের গলা শুকিয়ে যাবে।
• আপনার যদি ডায়বেটিস থাকে তাহলে আপনার শরীল ঠান্ড থাকবে গরমের ভিতরেও। কারন তখন আপনার গ্লুকোজ রক্তের সাথেই থাকে শরীলের অন্য কোথাও পৌছাতে পারে না।
• আপনার যদি ডায়বেটিস হয়ে থাকে তাহলে আপনার শরীল বেশির ভাগ সময় ক্লান্ত থাকবে আর আপনাদের চোখেও কিছু সমস্যা দেখা দিবে।
• ডায়বেটিসের সমস্যা থাকলে আপনার খালি ঘুম আসবে, আপনি যথেষ্ট পরিমানে ঘুমানোর পরেও আপনার ঘুম আসবে যদি ডায়বেটিস থাকে।
• আপনার যদি ডায়বেটিস থাকে তাহলে আপনার ওজন দ্রুত বাড়তে থাকবে। আপনি যদি দেখেন হঠাৎ আপনার ওজন বেরে যাচ্ছে তাহলে পরিক্ষা করে দেখুন আপনার ডায়বেটিস হয়েছে কি না।
ডায়বেটিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আপনাদের যেই নিয়মগুলো বললাম, সেই নিয়ম মেনে আপনারা আপনাদের ডায়বেটিস অল্প সময়ের ভিতর ভালো করে ফেলতে পারবেন।
ডাক্তার সুলতানা বলেছেন কোন ঔষধ ছাড়াই আপনারা আপনাদের ডায়বেটিস নিয়ত্রনে রাখতে পারবেন।
আপনারা যদি সব সময় ঔষধ খেয়ে আপনাদের ডায়বেটিস নিয়ত্রন করেন তাহলে আপনাদের শরীলের ভিবিন্ন দরনেও ক্ষতি হতে পারে আপনাদের শরীলের কলিষ্টর ও কমে যেতে পারে।
আপনাদের যাদের বয়স ৪০ অথবা ৪০ এর বেশি তাদের এই ডায়বেটিস বেশি হয়ে থাকে, তাই আমি আপনাদের বলবো আপনারা ৩৫ বছরের পরেই উপরের নিয়মগুলো মেনে চলবেন। তাহলে আপনাদের ডায়বেটিস সহযে হবে না। ডায়বেটিস থেকে নিজে বাচুন এবং অন্য কেউ বাচান।
0 মন্তব্যসমূহ