ফুসফুসে ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন

ফুসফুসে ক্যান্সার থেকে বাঁচার উপায় জেনে নিন 


ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায়

ফুসফুসের ক্যান্সার (Lung cancer)


সব ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি।ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় আমাদের দেশেপুরুষদের ক্যান্সারের মৃত্যুর প্রধান কারণ ফুসফুস ক্যান্সার।

বিশ্বের পুরুষের মৃত্যুর প্রথম কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার, আর নারীদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিতীয় কারণ। এই রোগ গ্রামের চেয়ে শহরবাসীর বেশি হয়। পরিসংখ্যানে থেকে জানা যায় যে,শতকরা ৮০ ভাগ  ফুসফুসের ক্যান্সার রোগীই ধূমপানের শিকার।


ফুসফুস ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান।


ক্যান্সার থেকে মুক্তির উপায় বায়ু ও পরিবেশ দূষণ এবং বাসস্থান অথবা কর্মক্ষেত্রে দূষণ ঘটতে পারে এমন সব কতুর (যেমনএ্যাসবেস্টাস, আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম, নিকেল, কঠিন ধাতুর গুড়া ইত্যাদি) সংস্পর্শে আসার কারণে ফুসফুসে ক্যান্সার হয়।


যক্ষ্মা বা কোনাে ধরনের নিউমােনিয়া ফুসফুসে এক ধরনের ক্ষত সৃষ্টি করে যা পরবর্তীতে ক্যান্সারে রূপান্তরিত ধারণা করা হয়, খাদ্যতালিকায় আঁশজাতীয় খাদ্যের ঘাটতি এই রােগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তােলে।


ফুসফুসের ক্যান্সার রোগের লক্ষণ


ফুসফুস ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলাে যত দ্রুততার সাথে নির্ণয় করা যায় এবং ফুসফুসের ক্যান্সার এর চিকিৎসা প্রদান করা যায়, বেশিদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি পায়। প্রাথমিক অবস্থায় যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলাে হলাে


-দীর্ঘদিন ধরে খুসখুসে কাশি ও বুকে ব্যথা।


-ভগ্নস্বর, ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধামন্দা।


-হাঁপানী, ঘনঘন জ্বর হওয়া।


-বারবার ব্রংকাইটিস বা নিউমােনিয়া দ্বারা 

সংক্রমিত হওয়া।


-হাড়ে ব্যথা অনুভব, দুর্বলতা, কোনাে গ্রন্থি অবশ হয়ে যাওয়া, জন্ডিস দেখা দেওয়া।


-রোগীর কাশির সঙ্গে রক্ত যায়। ফুসফুসের ক্যান্সার এর চিকিৎসা রক্তের পরিমাণ বেশি হলে শ্বাসনালি বন্ধ হয়ে যায়। রোগীর দেহে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। তখন রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। যাকে বলে এসফাইক্সিয়া।



ফুসফুসের ক্যান্সার রােগ নির্ণয়


প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সারের সম্ভবতা যাচাইয়ের জন্য থুথু বা শ্লেষা বিশ্লেষণ করা, বুকের এক্স-রে করা।


ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রতিকার


রােগের লক্ষণগুলাে দেখা গেলে অনতিবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান

রােগ নির্ণয়ের পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

প্রয়ােজনে রেডিয়েশন থেরাপি প্রয়ােগ করা।


ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরােধের উপায়


বিশেষজ্ঞদের মতে,

ক্যান্সার প্রতিরােধে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, যথা


-ধূমপান ও মদ্যপান না করা।


-অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া।


-নিয়মিত ব্যায়াম করা।


-পরিমাণমতাে শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তােলা।


-বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন—ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদি এড়িয়ে চলা। ফুসফুসে ক্যান্সার সৃষ্টিতে অ্যাসবেস্টসের প্রভাব এত বেশি যে সমসাময়িককালে জাহাজশিল্পে অ্যাসবেস্টসের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


-ফুসফুসের সমস্যা ও সমাধান যারা ধূমপান করে না তারা একেবারেই  বিপদমুক্ত নয়। শিল্প-কারখানা ও গাড়ির নির্গত কালো ধোঁয়াও ফুসফুসে ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

তাই যতসম্ভব এইগুলো থেকে দূরে থাকা দরকার। 



অ্যামেরিকার ক্যান্সার ইনিস্টিটিউট, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ট্রল এবং ক্যান্সার বিশেষজ্ঞগণ অভিমত প্রকাশ করেছেন যে, বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি ক্যান্সার প্রতিরােধ করে।


ফুসফুসে ক্যান্সার থেকে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? 


ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী কোন গ্যাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফুসফুসের ক্যান্সারের সমস্ত লোকের মধ্যে ১৬.৮% রোগ নির্ণয়ের পর কমপক্ষে পাঁচ বছর বেঁচে থাকে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে, ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য পাঁচ বছর ধরে বেঁচে থাকার আনুমানিক পরিমাণ ৯.৫% । উন্নয়নশীল বিশ্বের বেঁচে থাকার হার সাধারণত খারাপ। ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্ত করার সময় রোগ অনেক দূর ছড়িয়ে পড়লে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। ইংরেজি তথ্য জানাচ্ছে যে প্রায় ৭০% রোগী অন্ততপক্ষে এক বছর বেঁচে থাকে যখন রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করা হয়। ফুসফুস ক্যান্সারের হোমিও চিকিৎসা



আশা করি আমাদের এই লেখাগুলো আপনার ভাল লেগেছে।যদি ভাল লেগে থাকে তবে আপনার পরিবার, পরিজন, বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। নিজে সুস্থ থাকুন অন্যদেরও সুস্থ থাকত সহায়তা করুন।যদি আপনি কোন সমস্যাই ভুগে থাকেন তবে কমেন্ট করে আমাদের জানান আমরা সেই বিষয়ে লেখার চেষ্টা করব। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ