গর্ভাবস্থায় ৩ টি খাবার খেলে বাচ্চা সাস্থকর হবে। গর্ভাবস্থায় খাবার

 


গর্ভাবস্থায় ৩ টি খাবার আপনাদের বাচ্চাকে সাস্থবান করে তুলবে। 

প্রতিটি নারীকে এক সময় গর্ভপ্রতি হতে হয়। আর সেই গর্ভপ্রতির নারীর জন্য কিছু খাবার রয়েছে যা তার বাচ্চাকে এবং তাকে নানা রকমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। 

যেই ৩ টি খাবারের  কথা বলবো সেই ৩ টি খাবার নিয়ে বড় বড় ডাক্তারেরা গবেষনা করে দেখেছেন প্রতিটি গর্ভপ্রতি নারীর এই ৩ টি খাবার খাওয়া জরুরি। 

তাহলে আসুন ৩ টি খাবার সম্পর্কে আমরা এখন জেনে নেই, আর খাবার ৩ টি কিভাবে খাবেন বিস্তারিত সব বলে দিবো এর জন্য সম্পূর্ন পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পাঠ করবেন। 

১) গর্ভাবস্থায় আমলকি খাওয়ার উপকার 

গর্ভাবস্থায় ১ জন মেয়ের ভিটামিন-সি এর অভাব দেখা দেয়, আর এই আমলকি খাওয়ার কারনে ভিটামিন-সি এর অভাব দূর হয়ে যায়। পাকিস্তানের ১ গবেষনায় বলেছেন গর্ভাবস্থায় ১ মাসে ১ বার হলেও আমলকি খাওয়াটা জরুরি। 

আমলকি খেলে আপনার বাচ্চার জন্যও অনেক উপকারে আসবে, গর্ভপ্রতি নারী আমলকি খেলে তার বাচ্চার ভিটামিন-সি এর অভাব কখনই দেখা দিবে না। 

একজন গর্ভপ্রতি মা যদি ৭ থেকে ৮ মাস চলাকালি অবস্থায় আমলকি খায় তাহলে বেশি উপকার পাবেন।কারন তখন বাচ্চা একটি আক্রিতি পেয়ে যায়  এর জন্য গর্ভপ্রতি নারী যেই খাবার খাবে সেই খাবারের পুষ্টি, ভিটামিন সবকিছু বাচ্চা পাবেন।

অলিভয়েল তেলের মারাত্মক কিছু উপকার

ডিমের অসাধারন কিছু উপকারিতা 

হাপানি রোগীদের ঘরোয়া উপায়

আমলকি খাওয়ার নিয়ম 

এই আমলকি খাওয়া একে বারেই সহজ। আপনারা এই আমলকি জুস বানিয়ে খেতে পারেন অথবা ডক্তার এর দোকান থেকে সিরাপ কিনে খেতে পারেন৷ 

আমলকির জুস খেলে আপনারা প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে খেয়ে নিবেন। আর আমলকির সিরাপ খেলে সকালে ১ বার রাতে ১ বার খেয়ে নিবেন। 

২ / গর্ভাবস্থায় মধুর উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় মধু না খেলে আপনি অনেক উপকার থেকে বঞ্চিত হবেন। বর্তমান ৮০% মানুষ বাচ্চা হওয়ার পর বাচ্চাদের মধু খায়ায়। কিন্তু আপনারা আপনাদের গর্ভপ্রতি স্ত্রীকে খাওয়াবেন। 

আপনারা যদি গর্ভপ্রতি স্ত্রীকে মধু খাওয়ান তাহলে আপনাদের বাচ্চার হরমোনের সমস্যা দেখা দিবে না। আর আপনার বাচ্চার শরীলের গঠন ও অনেক সুন্দর হবে।

গর্ভাবস্থায় রাতে ঘুমানোর আগে ৫ গ্রাম থেকে ৭ গ্রাম মধু খাওয়াবেন বেশি খাওয়ালে আপনাদের বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে, কারব মধু মানুষের শরীলকে গরম করে তোলে। বেশি মধু খেলে পেটের বাচ্চার ও গরম লাগতে পারে।

৩) গর্ভাবস্থায় তুলসি পাতা খেলে কি হয় 

আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ তুলসি পাতা চিনে থাকে, তুলসি পাতা চিনে না এমন মানুষ অনেক কম। তুলসি পাতা গর্ভাবস্থায় খেলে প্যাট ব্যাথা করবে না। 

গর্ভপ্রতি মায়ের একটি কমন সমস্যা হচ্ছে গর্ভাবস্থায় পেট ব্যাথা করে, তাই গর্ভাবস্থায় তুলশি পাতা সেচ্চে সেটার রস খাওয়ায় দিবেন। 

 এই তুলসি পাতা গর্ভপ্রতি মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, আবার গর্ভপ্রতি মায়ের সাদা স্রাব এর সমস্যা থেকেও মুক্তি দিবে।

তুলসি পাতা এটা কোন সাধারন পাতা নয়, এই তুলসি পাতা একজন গর্ভপ্রতি মা খেলে তার বাচ্চার হরমোনের সমস্যা দেখা দিবে না এবং ভিটামিন পুষ্টির অভাব ও হবে না। গর্ভাবস্থায় যদি ভালো খাবার খায় তাহলে বাচ্চার সাস্থ এর কোন সমস্যা দেখা দেয় না। 

৩ টি খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত 

গর্ভাবস্থায় এই ৩ টি খাবার আপনার বাচ্চাকে সুস্থ এবং

সাস্থবান রাখতে সাহায্য করে থাকে। একজন মা যদি গর্ভাবস্থায় ভালো খাবার না খায় তাহলে জন্ম হওয়ার পরে ভিবিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। 

একজন বাচ্চা পেটে থাকলে আপনারা ক্যালসিয়াম, আমিষ, ভিটামিন জাতিয় খাবার খান তাহলে আপনাদের বাচ্চা জন্ম হওয়ার পরে কোন কিছুর অভাব থাকবে না। 

আপনাদের যেই ৩ টি খাবারের কথা বললাম এই ৩ টি খাবার হচ্ছে প্রাকৃতিক খাবার, আর এই প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ার কারনে আপনারা সব দরনের উপকার পাবেন আর এই খাবারগুলোর ভিতরে কোন অপকার নেই।

এই ৩ টি খাবার নিয়ে বর্তমান ভিবিন্ন যায়গায় গর্ভপ্রতি মায়ের জন্য মেডিসিন তৈরি করা হচ্ছে, তাই আপনাদের বলবো মেডিসিন খাওয়ার দরকার নেই কম খরচে এই ৩ টি খাবার খান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ